টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না’। প্রাচীন এই প্রবাদটি এখন আধুনিক যুগে অনেকটা হাসি-ঠাট্টার উপকরণে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া একটি সেলফিই এই হাসি-ঠাট্টার ইতি টানতে সক্ষম। সেলফিতে আসলে ছবি তোলার কোনো ক্যামেরাই নেই। যে শিশুটি সেলফি তুলছে, সে মোবাইল ফোনের অভাব পূরণ করেছেন রাবারের তৈরি পুরাতন স্যান্ডেল দিয়ে। সেলিব্রেটিরা যেভাবে সেলফি তোলার জন্য পোজ দেন, হুবহু একই ভঙ্গিতে তারা সেলফি তুলছে। আর অন্য কয়েকটি শিশুর পায়ে এই স্যান্ডেল জুতাও জুটে নি। কিন্তু এই অবস্থাতেও তাদের মুখে ফুটে উঠেছে মন মাতানো হাসি।
আর এই হাসিতেই তারা কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষের হৃদয়।
সেলফির দুই শিশু আবার ওই স্যান্ডেলরূপী কাল্পনিক ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে সেলফির জন্য পোজ দিয়েছে। সেলফির পেছনের ঘটনা জানা সম্ভব হয়নি। হয়তো কোনো ফটোগ্রাফার পরিকল্পিতভাবে তাদের এভাবে পোজ দিতে বলেছেন। কিন্তু ছবিতে শিশুদের যে অভিব্যক্তি, তা পার্থিব কোনো মানদণ্ড দিয়ে যাচাই করা সম্ভব না। ফটোগ্রাফার হয়তো ছবি তোলার ভঙ্গি শিখিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু মিথ্যা অভিব্যক্তি প্রকাশ করা শেখানো সম্ভব না। ছবিটি ঠিক কোন জায়গার তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। ছবির দৃশ্য দেখে অনুমান করা যায়, এটি বাংলাদেশ, ভারত বা এর আশেপাশের কোনো দেশে হবে।
কয়েক দিনের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইন্সটাগ্রামে আলোচনার ঝড় তুলেছে ছবিটি। এ বিষয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চনসহ আরো অনেকে। কেউ কেউ আবার টুইটারে ছবিটি শেয়ার দিয়ে শিশুদের পরিচয় জানতে চেয়েছেন। উত্তর-আধুনিক যুগে এমন ছবির সত্যতা নিয়েও টুইটারে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু পাল্টা টুইটে আবার অভিজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের যাচাইয়ে ছবিটি ভুয়া না বা ফটোশপে তৈরি না। এ ছাড়া, অনেকে এই ছবিকে ‘সেলফি অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণার দাবি তুলেছেন। অনেকে ইতিমধ্যেই ছবিটিকে সেলফি অব দ্য ইয়ারের তকমা দিয়েছেন। নতুন বছরের মাত্র দ্বিতীয় মাস চলছে। হয়তো বছর শেষে টুইটার কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণা দিয়েও দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment