মোস্তাফিজ পারলে সাইফুদ্দিন কেন নয়



ডেভিড মিলার দেখি এখনো পিছু ছাড়েননি সাইফউদ্দীনের! ২০১৭ সালের অক্টোবরে পচেফস্ট্রুমে সাইফের চোখের জল-নাকের জল এক করতেই শুধু বাদ রেখেছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান! বাংলাদেশের তরুণ পেসবোলিং অলরাউন্ডারের করা ১৯তম ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা মারলেন মিলার! পরে সেঞ্চুরিও করলেন।
সাইফউদ্দীন ডেথ ওভারে ভালো করলেও মিলার-প্রসঙ্গ আসে। খারাপ করলে তো আসেই! আজও যেমন ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করার পর এল। সাইফউদ্দীন যেন বিরক্তই হলেন তাঁর এই আনন্দক্ষণে মিলারকে টেনে আনায়, ‘সংবাদ সম্মেলনে এলেই আপনারা সবাই মিলারের কথা বলেন। যেটা চলে গেছে সেটা তো চলেই গেছে। নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছি আজকের ম্যাচে। আমি যে পারি (ডেথ ওভারে ভালো বোলিং) সেটা আজ করে দেখিয়েছি। সামনে এমন সুযোগ পেলে চেষ্টা করব আজকের মতো দলকে জেতানোর।'
আজ শেষ ওভারে ঢাকা ডায়নামাইটসের দরকার ছিল ১৩ রান। তখনো ক্রিজে ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল। বোলিংয়ে আসেন সাইফউদ্দীন। আগের ৩ ওভারে ১ মেডেন দিয়ে ১১ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট, অধিনায়ক তাঁর ওপরই তো ভরসা রাখবেন। কিন্তু বোলার যখন সাইফউদ্দীন, পচেফস্ট্রুমের স্মৃতি যে ফিরে আসে মিরপুরে। ডেথ ওভারে সাইফউদ্দীন কতই তো মার খেয়েছেন। মিলারের মার তো কখনো ভোলার নয়!
মিলারের কাছে ওই পিটুনি খাওয়ার পর গত দুই বছরে ডেথ ওভারের বোলিং নিয়ে অনেক কাজ করেছেন সাইফউদ্দীন। আর এতে তাঁকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। 'ফিজ'কে দেখে শিখেছেন, শেষ দিকে কীভাবে বোলিং করতে হয়।
সাইফউদ্দীনের কথা হচ্ছে, বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে তাঁর বন্ধু মোস্তাফিজ যদি ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করতে পারেন, তিনি কেন পারবেন না? আজ রাসেলকে কীভাবে সামলেছেন, সেটি বলতে গিয়ে মোস্তাফিজের কথাই বললেন কুমিল্লার পেস বোলিং অলরাউন্ডার, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল ওয়াইড ইয়র্কার করব। রাসেল পাওয়ার হিটার, সে ভালো ছয় মেরে দিয়েছে (পঞ্চম বলে)। যেহেতু ওয়াইড ইয়র্কারে কাজ হয়নি, তাই শেষ বলটা শতভাগ ইয়র্কার করেছি। মোস্তাফিজ এভাবেই একটা ম্যাচ জিতিয়েছিল রংপুরের বিপক্ষে (ফরহাদ রেজা টানা পাঁচটা বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি)। আমি এটা উপলব্ধি করছিলাম। মোস্তাফিজ আমার বয়সী। সে পারলে আমি কেন পারব না? বিষয়টা মাথায় রেখে বোলিং করে সফল হয়েছি।

No comments

Powered by Blogger.